Header Ads

ad728
  • Breaking News

    বিখ্যাত "দিরিলিস আরতুগূল" ও দু'চারটি কথা !!!

     

     বিখ্যাত "দিরিলিস আরতুগূল" ও দু'চারটি কথা  !!!

    টিনের চালে ঝুমঝুম বৃষ্টির মাঝে অথবা চকচকে জ্যোৎস্নার আলোয় শীতলা বাতাসে যে অনুভূতি হয়; তা বোধহয় অনুভব করা যায় ভিন্নকিছু মুহূর্তেও..
    কিছু বই আছে, কিছু মুভি,সিরিয়াল আছে যেগুলোর ভিতরে একবার ঢুকে যেতে পারলে তেমনি এক অজানা অনুভূতি হ্রদয়গহীনে এসে নোঙর ফেলে l



    "দিরিলিস আরতুগূল" দেখার সময় কেমন অনুভূতি হয়েছিলো, তা হয়তো আজ বলবোনা! শুধু বলবো_
    আমাদের বিজয়গাঁথা ইতিহাস, আমাদের জাতিসত্ত্বার অসীম ত্যাগ কিছুটা উপলব্ধি করতে হলে এটা দেখতে হবে।ছোট্ট মুসলিম গোষ্ঠীটি মহান রবের রহমত আর তাদের যোগ্যতা বলে সাত'শত বছর তিনটি মহাদেশ শাসন করেছে..
    ইতিহাসের সাথে হুবহু মিল রেখে করা সিরিজটিতে "ইতিহাসের উজ্জ্বল তারকা গাজী আরতুগূল বে" র নেতৃত্বে তুর্কী মুসলিমদের যে উত্তান হয়েছিলো তাই-ই চমৎকৃতভাবে দৃশ্যপাত করা হয়েছে..
    তুর্কী মুসলিমদের আত্নপরিচয়ের, হারানো ইতিহাসের স্বরুপ সন্ধানও এতে করা হয়েছে।
    .
    চরিত্রগুলির কথা বলার পূর্বে বলতে হয়_
    এশিয়ার মালভূমিতে যাযাবর জীবন যাপনকারী ছোট্ট কা'য়ী গোষ্ঠীর নেতা সুলাইমান শাহ ও হায়েমে বেগমের সন্তান নাম "আরতুগূল"।আনুমানিক ১১৯১-১১৯৮ খৃঃ এর কোন একসময় তিনি জন্মগ্রহণ করেন, আর মৃত্যুবরন করেন ১২৮০ খৃঃ।পিতার সেনাবাহিনীর প্রধান যোদ্ধা ছিলেন তিনি।পিতা সুলাইমান শাহ-ই মূলত তার চিন্তামগজে বীরত্ব আর ঈমানী তেজের বীজ রোপণ করেন..
    তৎকালীন সময়ে তাদের নিকটবর্তী থাকা সেলজুক সাম্রাজ্যের রাষ্টনায়ক ছিলেন আলাউদ্দিন কায়কোবাদ সেলজুকী। ১২২৪ খৃঃ চেঙ্গিস খান একবিরাট বাহিনী প্রেরণ করে সেলজুক সাম্রাজ্যের রাজধানী কুনিয়া দখলের জন্য,আর অপরদিকে চেঙ্গিসের মঙ্গলীয় বাহিনীর তুলনায় সেলজুকদের বাহিনী ছিলো খুবই দুর্বল ও ভীত!
    এখবর সুলাইমান শাহের কানে আসা মাত্রই তার বাহিনী প্রধান "আরতুগূল" কে ডেকে আদেশ করেন- 'হে বীরযোদ্ধা তোমার শাহাদাতের পেয়ালা পানের সুযোগ এসেছে'_ যে মঙ্গলীয়রা ইতিমধ্যে মুসলিম বিশ্ব ধ্বংসই করে ফেলেছে, সেইসব কাফিরদের বিপক্ষে মুসলিম ভাইদের সহযোগিতায় তোমাদের পাশে দাঁড়ানো আবশ্যক।
    মাত্র ৪৪৪জন সৈন্য নিয়ে আরতুগূল রওনা হন।পরবর্তীতে দুর্বল সেলজুদের সাথে কাধ মিলিয়ে রক্তক্ষয়ী যোদ্ধের ময়দানে কালিমার বিজয়ী পতাকা উড্ডীন করেন (তাদের বীরত্বের কথা বলতে গেলে এযোদ্ধের দিকে তাকালেই উপলব্ধি করা যায়,মাত্র কয়েকশ যোদ্ধা মঙ্গলীয় বিশাল বাহিনীককে ধরাশায়ী করে ময়দান থেকে পালাতে বাধ্য করে)।
    সেলজুক সম্রাট আলাউদ্দিন তাদের বিজয়ে 'আরতুগূল'কে বদরের ফেরেশতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।এবং যাযাবর কা'য়ী গোষ্ঠীর জন্য তিনি অনেক জায়গাও দান করেন..
    এরপর সেলজুকদের হারানো সেগুত, নাইটদের দখলকৃত বিভিন্ন দূর্গ ' আরতুগূল গাজী'র নেতৃত্বে উদ্ধার হতে থাকে।
    ' আরতুগূল গাজী' হয়ে উঠেন বাইজেন্টাই ও পশ্চিম ইউরোপের ক্রুসেডারদের মাথাব্যথার কারণ,আবার পূর্বদিকের মঙ্গলীয়রাও ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে তারই প্রতি..!
    .
    আবার এরই মাঝে তিনি বিয়ে করেন সেলজুক রাজপুত্র নোমানের কন্যা হালিমা সুলতানাকে।
    সেলজুকরাও মূলত তুর্কী ছিলো।ইসলামের ইতিহাসে তুর্কীরা আরবদের পরেই সবথেকে বেশী দ্বীনি খেদমত করেছে।বিখ্যাত উসমানীয় খিলাফাত, সেলজুক সাম্রাজ্য, মুঘল সাম্রাজ্য, সাফাভী(শিয়া) শাসনামল, গজনভী ও খাওয়ারিজমি সাম্রাজ্য সবই মূলত তুর্কী মুসলিমদের গড়া সাম্রাজ্য..
    আর, তুর্কীদের মাঝে এভাবে ইসলামের সুমহান আলো ছড়িয়ে পড়েছিলো মূলত উমাইয়া খিলাফতের সময়..
    উমাইয়া খিলাফাতের বীর মুহাম্মদ বিন কাসিম, মুসা বিন নুসাইর আর তারিক বিন যিয়াদের মতোই আরেক বীর 'আলী কুতাইবা ইবনে মুসলিম' এর নেতৃত্বে ইরান ছাড়িয়ে তুর্কিস্থানের বিভিন্ন অঞ্চল বিজয়ী হতে থাকে। তারই হাতে দলে দলে বিভিন্ন গোষ্ঠীরা দা'য়ীদের হাত ধরে এসে ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে..
    এভাবে সুদূর চীন পর্যন্ত চলে যায় ইসলামের অমীয় সুধা..
    .
    যাইহোক,
    "দিরিলিস আরতুগূল" সিরিয়ালটিতে সবগুলি মূলচরিত্রই ঐতিহাসিক চরিত্রের সাথে মিলরেখে করা হয়েছে,তবে একটি চরিত্রে নাম ভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে।আবার সেটা আরতুগূলের পরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র 'ইবনে আরাবীর' চরিত্র।
    এখানে ইবনুল আরাবী বলতে অনেক সময় ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে,কেননা ইতিহাসে ইবনে আরাবী নামক একজন আধ্যাত্মিক সুফী ছিলেন_যিনি আন্দালুসিয়ার মানুষ ছিলেন।তবে তিনি খুবই বিতর্কিত একজন সুফী!
    যাইহোক,
    "আরতুগূল"এর পরই চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, আরতুগূল বে'র সত্যিই একজন আধ্যাত্মিক উস্তাজ ও ভরসাস্থল ছিলেন, তার নাম "শাইখ আদব আলী আত-তামীমী"(১২০৬-১৩২৬)।শাইখ আদব আলী অতান্ত প্রজ্ঞাবান আলেমেদ্বীন।তিনি ছিলেন আরবের বনু তামীম বংশের লোক।
    গুরুত্বপূর্ণ শাইখ আদব আলীর ভূমিকায় ইবনে আরাবীর চরিত্রে যা দেখানো হয়েছে এবং এর মূল ইতিহাস হলো-
    তিনি অতান্ত প্রেরণাদায়ক ও আত্নিক প্রশান্তি মিলিয়ে দেওয়া শাইখ।তার ঐতিহাসিক ভূমিকাগুলিতে যুদ্ধ,ত্যাগ,সংগ্রাম ও জীবনের উত্তান পতনে কুর'আন-সুন্নাহের প্র্যাকটিক্যাল প্রয়োগ দেখিয়েছেন বিভিন্ন উপদেশের মাধ্যমে , যখনই রাসূল(সা)এর উম্মতের এই দলটি কোন বড় বিপদ বা সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যে পড়েছে তখন তিনি উপস্থিত হতেন এবং কুর'আন হাদিসের শিক্ষা ও ইতিহাসের বাস্তবমুখী প্রয়োগগুলি তিনি সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতেন। শাহাদাত, সবর হচ্ছে এই চরিত্রের মূল শিক্ষা..
    .
    এখন প্রশ্ন জাগতে পারে এই ইবনুল আরাবী নামটি নিয়ে এতো কথার কি প্রয়োজন! আর শাইখ আদবআলীর জায়গায় এই নামটি কেন-ই বা আসলো!?
    ইবনুল আরাবীর মূল নাম_শাইখ আলী আকবর মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী(১১৬৫-১২৪০)।যিনি সুফীতত্ত্বের বড়মাপের সাধক ও লেখক।তিনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন এবং প্রচুর ছাত্র ছিলো তার।
    কিন্তু, বিখ্যাত হাফিজ ইবনে কাছীর(রহঃ), হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী(রহঃ), হাফিজ ইবনে দাফীক দামেস্কী(রহঃ)সহ বহু বড়বড় স্কলারগণ তাকে বিভ্রান্ত আক্বিদার বলে আখ্যায়িত করেন এবং অনেকে কাফির ফতোয়াও দেন।আর তার প্রভাব ছিলো ব্যাপক..
    তারই সবচেয়ে বড় শিষ্য সদর উদ্দিন কুনাভী ও বহুছাত্র উসমানী খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে সেখানে ভীড় জমায়।
    যদিও উসমানী খিলাফাতের রাষ্ট্র, শিক্ষাব্যবস্থা ও আইনবিভাগ পরিচালনা করতেন সুন্নী আলেমগণ। তবুও এই সুফীদের বেশ প্রভাব থাকায় আন্দালুসিয়ার সুফী ইবনে আরাবীর লেখা কুসুম আল হিকামসহ বেশকিছু বই পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়ে যায়; যার ফলে সুফীদের প্রভাব আস্তেআস্তে বাড়তে থাকে, এর কারণে দেখাযায় সৌদিপন্থী সালাফীরা উসমানী খিলাফাতের আক্বিদা হিসেবে সুফী আক্বিদা দেখিয়ে উসমানী খিলাফাতকেই ভ্রান্ত বলে আখ্যায়িত করে..!
    এককথায় বলতে গেলে সেই সুফীধারার প্রভাবের কারণেই হয়তো সিরিয়ালটির পরিচালক শাইখ আদব আলী আত-তামীমীর জায়গায় ইবনে আরাবীর নাম তুলে ধরেন এবং সুফীজমকে হাইলাইট করেছেন।
    মোটকথা হলো_ 'ইবনে আরাবীর' জায়গায় 'শাইখ আদব আলী'কে বসিয়ে দিলেই মূলচরিত্র ও সঠিক ইতিহাস জানা হয়ে যাবে।
    বড়ই প্রেরণাময় বাতিঘর ছিলেন - শাইখ আদব আলী আত-তামীমী।
    (তবে সব সুফীকে খারাপ ভাবার সুযোগ নেই! সহী আক্বিদার বহু সুফীও ইতিহাসে রয়েছেন)
    .
    সিরিয়ালটির মূল শিক্ষার মাঝে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে_ ইসলামের জন্য সংঘবদ্ধ ভাবে আত্ননিবেদন, ইসলামী সংস্কৃতি অভ্যাস, আমাদের সংগ্রামী ইতিহাস সম্পর্কীয় সচেতনতা, জিহাদ ও শাহাদাতের জলন্ত মডেল, নেতার আনূগত্য, অভ্যন্তরীণ মুনাফিকদের মুখোশ উন্মোচন ও দমন, সমাজ-সংগঠন সঠিকভাবে পরিচালনা ইত্যাদি..
    সিরিজটির সব চরিত্র গুলিই ঐতিহাসিক তবুও গল্পের খাতিরে কিছু জায়গায় পরিবর্তন এসেছে।আর, মূল চরিত্রগুলি লেগেছে বেশী-ই অসাধারণ..
    আরতুগূল ও তার সহযোদ্ধাদের বীরত্ব আনূগত্য, গুনদারুর উদাস ও ঝামেলাহীন জীবনের আকাঙ্ক্ষা, কুরতোগলোর নেতৃত্বের লোভ ও চক্রান্ত, কারাতোয়াগার ও ক্রুসেডার নাইট টেমপ্লারদের ষড়যন্ত্র,সেলজান খাতুনে ব্যক্তিগত প্রতিশোধের স্পৃহা সবই যে মুগ্ধনয়ন দিয়ে দেখতে বাধ্য হয়েছি..
    সেলজুক সেনাপতি, আইয়ুরী সেনাপতি নাসের সহ বিভিন্ন গাদ্দারদের ইতিহাস তো এখনো জাতি ভুলেনি! তাও বেশ চমৎকার ফুটে উঠেছে..
    আজকের মুসলিম জাতি,সমাজ যে নানাসমস্যায় জর্জরিত সে শিক্ষাও অনেকক্ষেত্রে তুলে ধরা হয়েছে।
    .
    আর,
    কিছুচরিত্র মুগ্ধ হতে বাধ্য হতে করে।তন্মধ্যে অন্যতম_ 'দিলিদিমির'
    যিনি ছিলেন তৎকালীন সময়ের অন্যতম অস্ত্রবিদ। এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরিতে উসমানীয়রা সর্বদাই অগ্রগামী ছিলো,যার বাস্তব প্রমাণ মিলে ইস্তাম্বুল বিজয়ের সময়..
    অস্ত্র তৈরির পাশাপাশি দিলিদিমির ঐতিহাসিক যে কাজটি করেন তাহলো- গল্পের ছলে তিনি শিশুমনে বুনে দিতেম ইসলামের সৌন্দর্য,সোনালি ইতিহাস ও ত্যাগের মহিমা।এইজন্য তাকে কিশোরদের মহান শিক্ষকও বলা হয়ে থাকে..
    .
    কা'য়ী গোষ্ঠীর মহিলাগণ ছিলেন খুব ভালো যোদ্ধা, জ্ঞানের ক্ষেত্রেও তারা ছিলেন খুবই অগ্রগামী; তাই তাদের ধৈর্য্যশীলা নারীদের মডেল হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়।বাস্তব উদাহরণ হলেন_ আরতুগূল গাজীর মা 'হায়েমে বেগম'..
    যার কারণে পুরুষদের অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিলো তাদের ঘর, তাদের নারীরা।ধৈর্য্যধারণ আর জিহাদের ক্ষেত্রে তাদের সর্বদাই শীতল ছায়াদানকারীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে।
    .
    সবশেষে আরো দুটি বিষয় আমাকে নাড়া দিয়েছে তাহলো _
    -তারা সবাই ছিলো পরিবারমুখী.. পরিবারকে পর্যাপ্ত সময়দান,হাসি-ঠাট
    ্টার পাশাপাশি দুঃখ-কষ্ট শেয়ার করা, সবাই মিলে একত্রে খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি তাদের অভ্যন্তরীণ শক্তিকে আরো দিগুণ করে তুলে..
    - আর তারা সবাই "আলেমদের" খুব সম্মান ও প্রাধান্য দিতেন সকল কাজেই..
    .
    গাজী আরতুগূলের ঔরসেই জন্ম নেওয়া 'উসমান' ছিলেন তার যোগ্য উত্তরসূরি। যার হাতেই তুলে দেওয়া হয় গোষ্ঠীর পরবর্তী নেতার 'তলোয়ার'।
    উসমান বে একটি স্বপ্ন দেখেন এবং সেই স্বপ্নের প্রেক্ষিতে শাইখ আদব আলীর কন্যাকে তিনি স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন..
    পরবর্তীতে তার হাত ধরেই এগিয়ে যেতে থাকে পিতার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ..
    .
    প্রিয় মানুষগুলির প্রতিচ্ছবি দেখতে দেখতে শুধু বারবার মনে হচ্ছিলো- আহা! ইসলাম কতোইনা ত্যাগের সমুদ্র বেয়ে বেয়ে আমাদের কাছে এসে পৌছেছে..কতো সংগ্রাম আর কষ্টের বিনিময়ের ফসল রাসূল(সা) এর রেখে যাওয়া এই সুমহান আদর্শ..
    .
    আজকের তুর্কী জাতি যারা এই সিরিয়াল তৈরি করেছে,তারা আজ ইতিহাসের বয়ান তৈরি করে তার জাতির সামনে কতোইনা সুন্দর করে উপস্থাপন করেছে..
    আজ! প্রশ্ন জাগে..!
    আমাদের কি নেই ইতিহাসের বয়ান তৈরি করার মতো কোন ইতিহাস..?
    সেই ইখতিয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী, বিপ্লবী তীতুমীর, সামাজিক আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়তুল্লাহদের কি সবাই ভূলে গেছি!
    ভূলে তো যাবারই কথা!
    কেননা, আফসোস করে বলতে হয় মুজাহিদ কমান্ডার শাহজালাল(রহঃ), বীরসেনা ও বিখ্যাত স্কলার আব্দুল কাদের জিলানীদের আমরা ইতিহাসের বয়ানে দেখাচ্ছি ভন্ডপীর হিসেবে! সবাই তাদের বড় পীর, অমুক তমুক পীর হিসেবে জানছে!!
    আহা!
    আজ যদি শহীদ আব্দুল মালেক'কে নিয়ে কালবেলার মতো উপন্যাস, আর্টফিল্ম হতো! তাহলে এদেশের যুবকেরা জানতে পারতো তাদের হিরো কে_ তাদের আদর্শ কেমন হওয়া উচিৎ..
    ইসলামি সিভিলাইজেশন এর জ্ঞান আজ আমাদের একেবারেই শূণ্যের কোঠায়!
    তুর্কিরা আজ সিভিলাইজেশনের মডেল হিসেবে উসমানী খিলাফাতকে দেখায়।অথচ আমরা সিভিলাইজেশনের জ্ঞান অর্জনের ধারের কাছেও না গিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিপ্লবের কল্পনাবিলাসে মত্ত!!
    .
    ভালবাসি_ গাজী আরতুগূল,শাইখ আদব আলী..
    ভালবাসি _ অনেক অনেক



    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728